বৃহস্পতিবার, ১৬ মে, ২০১৩

[হে পরওয়ারদিগার.. যে দেশে হাসিনারে পাঠাইছো, সেই দেশে মহাসেন কি দরকার....???]
আর ডরানের কাম নাই.......।।

মহাজোট সরকারের দুর্যোগ মোকাবেলার প্রস্তুতি দেথে "মহাসেন" ভীত স্বন্ত্রস্ত হয়ে তার গতি কমিয়ে দিয়েছে।
এমনিতে র্দীঘ সময় ধরে প্রবাহমান এই প্রলয়টি ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিল।
সামান্ন কিছু বৃষ্টির কান্না উপহার দিলো শুধু..
চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থান থেকে আকাশে ক্ষনে ক্ষনে সূর্যি উকিঁ মারছে.....

[মহাসেন তুমার দুর্বলতা কে পুজিঁ করে কেউ যেন রাজনীতি করতে না পারে সে ব্যাপারে খিয়াল রাখবা ]
[বর্তমান সরকারের অন্যায় আচরন মহাসেন থেকে কম কিসে...??]

মঙ্গলবার, ১ মে, ২০১২


আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস (মে দিবস নামেও পরিচিত) মে মাসের প্রথম দিনটিকে পৃথিবীর অনেক দেশে পালিত হয়। বেশকিছু দেশে মে দিবসকেলেবার ডে হিসাবে পালন করা হয়। এদিনটি সরকারীভাবে ছুটির দিন। ১৮৮৬ সালের ১লা মে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের হে মার্কেটে ৮ ঘণ্টা শ্রমদিনের দাবীতে আন্দোলন রত শ্রমিকের ওপর গুলি চালানো হলে ১১ জন শহীদ হয়। তবে যুক্তরাষ্ট্র বা কানাডায় এইদিন পালিত হয় না। এ ছাড়া এইদিনে আরও কিছু ঘটনা রয়েছে যা আঞ্চলিক ভাবে হয়তো পালিত হয়।
পূর্বে শ্রমিকদের অমানবিক পরিশ্রম করতে হত, প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা আর সপ্তাহে ৬ দিন। বিপরীতে মজুরী মিলত নগণ্য, শ্রমিকরা খুবই মানবেতর জীবনযাপন করত, ক্ষেত্রবিশেষে তা দাসবৃত্তির পর্যায়ে পড়ত। ১৮৮৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের একদল শ্রমিক দৈনিক ৮ ঘণ্টা কাজ করার জন্য আন্দোলন শুরু করেন, এবং তাদের এ দাবী কার্যকর করার জন্য তারা সময় বেঁধে দেয় ১৮৮৬ সালের ১লা মে। কিন্তু কারখানা মালিকগণ এ দাবী মেনে নিল না। ৪ঠা মে ১৮৮৬ সালে সন্ধ্যাবেলা হালকা বৃষ্টির মধ্যে শিকাগোর হে-মার্কেট নামক এক বাণিজ্যিক এলাকায় শ্রমিকগণ মিছিলের উদ্দেশ্যে জড়ো হন। তারা ১৮৭২ সালে কানাডায় অনুষ্ঠিত এক বিশাল শ্রমিক শোভাযাত্রার সাফল্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে এটি করেছিলেন। আগস্ট স্পীজ নামে এক নেতা জড়ো হওয়া শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে কিছু কথা বলছিলেন। হঠাৎ দূরে দাড়ানো পুলিশ দলের কাছে এক বোমার বিস্ফোরন ঘটে, এতে এক পুলিশ নিহত হয়। পুলিশবাহিনী তৎক্ষনাত শ্রমিকদের উপর অতর্কিতে হামলা শুরু করে যা রায়টের রূপ নেয়। রায়টে ১১ জন শ্রমিক শহীদ হন। পুলিশ হত্যা মামলায় আগস্ট স্পীজ সহ আটজনকে অভিযুক্ত করা হয়। এক প্রহসনমূলক বিচারের পর ১৮৮৭ সালের ১১ই নভেম্বর উন্মুক্ত স্থানে ৬ জনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। লুইস লিং নামে একজন একদিন পূর্বেই কারাভ্যন্তরে আত্মহত্যা করেন, অন্যএকজনের পনের বছরের কারাদন্ড হয়। ফাঁসির মঞ্চে আরোহনের পূর্বে আগস্ট স্পীজ বলেছিলেন, "আজ আমাদের এই নি:শব্দতা, তোমাদের আওয়াজ অপেক্ষা অধিক শক্তিশালী হবে"। ২৬শে জুন১৮৯৩ ইলিনয়ের গভর্ণর অভিযুক্ত আটজনকেই নিরপরাধ বলে ঘোষণা দেন, এবং রায়টের হুকুম প্রদানকারী পুলিশের কমান্ডারকে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত করা হয়। আর অজ্ঞাত সেই বোমা বিস্ফোরণকারীর পরিচয় কখনোই প্রকাশ পায়নি।
শেষ পর্যন্ত শ্রমিকদের "দৈনিক আট ঘণ্টা কাজ করার" দাবী অফিসিয়াল স্বীকৃতি পায়। আর পহেলা মে বা মে দিবস প্রতিষ্ঠা পায় শ্রমিকদের দাবী আদায়ের দিন হিসেবে, পৃথিবীব্যাপী আজও তা পালিত হয়।
দেশ এর অবস্খা এখন খুব একটি ভালো না। মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নাই। মানুষ ঘরে বাইরে কোথাও নিরাপদ নয়। ঘরের ভিতর হচ্ছে খুন আর বাইরে বের হলেই হচ্ছে গুম। এতোদিন জানতাম মানুষের মৃত্যু কখন তা আল্লাহ ভালো জানে। কিন্তু এখন দেখছি ভিন্ন চিত্র।

বৃহস্পতিবার, ১৫ মার্চ, ২০১২

মুন্সীগঞ্জের লঞ্চ দুর্ঘটনা


মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় এক লঞ্চ ডুবিতে প্রায় ৩০০ জন লোক নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যেই ১১২টি লাশ উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধার না হওয়া আরো লাশ থাকতে পারে। সব মিলিয়ে এটা একটা ভয়াবহ নৌ দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে একজন যাত্রীর বক্তব্য হলো রাত ২.৩০ টার দিকে একটি কার্গোর সাথে ধাক্কা লেগে লঞ্চটি ডুবে যায়। এই দুর্ঘটনায় ১১২ কিংবা তারও বেশি লোকের মৃত্যুই শুধু বিষয় নয়। এই মৃত লোকদের অনেক পরিবার হয়তো এমনও আছে যারা জীবিত থেকেও মৃত্যুর যন্ত্রণা ভোগ করবে। অনেক সংসার ভেঙ্গে যাবে। অনেক সংসার বিরানও হয়ে যেতে পারে। লাশের সন্ধানে আসা এবং লাশগুলোকে ঘিরে যে বুকফাটা কান্না তা কোনো মূল্য দিয়ে মুছে দেয়া যাবে না। আমরা এসব শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই এবং দোয়া করি আল্লাহ তাদের সহায়ক হোন।
লঞ্চ দুর্ঘটনার খবর যেদিন বেরিয়েছে সেদিনই জানা গেছে তদন্ত কমিটি গঠিত হওয়ার খবর। যেন লঞ্চ দুর্ঘটনার সাথে পাল্লা দিয়ে গঠিত হয়েছে তদন্ত কমিটি। তদন্ত কমিটি গঠিত হওয়া নীতিগতভাবে একটা ভালো খবর। কিন্তু আমাদের দেশে এখন কোনো বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠিত হওয়ার সংবাদে মানুষ আতঙ্কবোধ করে থাকে। সাধারণভাবে এই ধারণা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে তদন্ত কমিটি গঠিত হওয়ার অর্থ হলো ঘটনাকে ধামাচাপা দেয়া এবং আলোচনা-সমালোচনার পথ বন্ধ করা। কারণ তদন্ত কমিটি গঠিত হওয়ার পর কর্তৃপক্ষীয় মহল থেকে একটা কথা বারবার বলা হয়ে থাকে যে, তদন্ত কমিটির মাধ্যমে সত্য বের হয়ে আসবে এবং তদনুযায়ী ব্যবস্থা গৃহীত হবে। কিন্তু বহু বছর বহু ঘটনার বাস্তবতা হলো তদন্তের সত্যটা প্রকাশও হয় না এবং কোনো প্রতিকারও মানুষ দেখে না। সড়ক, নৌ কিংবা অন্য কোনো দুর্ঘটনার পরে দুর্ঘটনার নানা কারণ নিয়ে আলোচনা হয়। ডিজাইনের দোষ, ড্রাইভিংয়ের দোষ ইত্যাদি নানা রকম কারণ সামনে নিয়ে আসা হয়। এই লঞ্চ দুর্ঘটনার ক্ষেত্রেও এ ধরনের কিছু কারণ ইতোমধ্যে সামনে আনা হয়েছে। আনা পর্যন্তই। শেষ সত্যটা হয়তো কোনোদিনই জানা যাবে না। এটা সরকার এবং প্রশাসনেরই দুর্বলতা। এই দুর্বলতার খেসারত দিচ্ছে দেশের মানুষ।
মানুষের সভ্যতা, সমৃদ্ধি, শিক্ষা সবই সামনের দিকে এগুচ্ছে। তাহলে আমাদের যে ব্যর্থতা তার ইতি ঘটবে না কেন। সকলের প্রত্যাশা প্রতিকারের আন্তরিকতা নিয়েই তদন্ত কমিটি গঠিত হোক এবং তদন্তকে সফল করার জন্য উপযুক্ত লোকের সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি গঠিত হোক। এই লঞ্চ দুর্ঘটনার প্রতিকারকল্পে যে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে তা যাতে কার্যকর হয় সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। আমরা আশা করি এই সাথে অতীতের লঞ্চ দুর্ঘটনা সংক্রান্ত তদন্ত কমিটিগুলোর রিপোর্টগুলোকে যেন সামনে আনা হয় এবং যেসব কারণে বা যাদের কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে তাদের বিরুদ্ধে যদি প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়, তাহলে দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি অবশ্যই কমানো যাবে। সামনে ঝড় ও বর্ষার মওসুম আসছে। এ সময় প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে স্টিমার, লঞ্চকে চলাচল করতে হয়। লঞ্চ-স্টিমারের ত্রুটি-বিচ্যুতি, পরিচালনা ব্যবস্থার গাফলতি, নৌ-রুটের অব্যবস্থা ইত্যাদি প্রাকৃতিক ঝুঁকির সাথে যুক্ত হয়ে দুর্ঘটনার সংখ্যা বৃদ্ধি ঘটিয়ে থাকে। সুতরাং এখন থেকেই সব ব্যাপারে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার যাতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি হ্রাস ঘটানো যায়। দুর্ঘটনায় মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সরকারের দায়িত্ব রয়েছে এ বিষয়টা যেন সরকার না ভুলেন।

প্রবাল দ্বীপে ২দিন